15 Rendering patterns for Web Application
1 min read

15 Rendering patterns for Web Application


Rendering Pattern মানে হচ্ছে—
ওয়েবসাইট বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন কীভাবে ইউজারের ব্রাউজারে কনটেন্ট (লেখা, ছবি, ফর্ম ইত্যাদি) দেখাবে সেই পদ্ধতি বা কৌশল।

সহজ ভাষায়:
Rendering Pattern হলো – ‍ব্রাউজারে কনটেন্ট দেখানোর স্টাইল বা উপায়।
এটা নির্ধারণ করে, পেজটা সার্ভার থেকে আসবে নাকি ব্রাউজার নিজেই বানাবে, আগে থেকে বানানো থাকবে নাকি ডায়নামিকভাবে বানাবে ইত্যাদি।

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের রেন্ডারিং প্যাটার্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, কারণ এটি নির্ধারণ করে কীভাবে আপনার ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন ইউজারের ব্রাউজারে প্রদর্শিত হবে। এর উপর নির্ভর করে পারফর্ম্যান্স, ইন্টারঅ্যাকটিভিটি (ইউজারের সাথে ওয়েবসাইটের যোগাযোগ), এবং SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন) কতটা ভালো হবে। রেন্ডারিং প্যাটার্ন ব্যাখ্যা করা হলো —
এখানে ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ রেন্ডারিং প্যাটার্নকে সহজভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।



১. Static Websites

এগুলো হচ্ছে সবচেয়ে সহজ ওয়েবসাইট। প্রতিটি পেজ আগে থেকেই HTML আকারে বানানো থাকে। যখন ইউজার কোনো পেজ দেখতে চায়, সার্ভার সরাসরি সেই ফাইলটা পাঠিয়ে দেয়।
✅ দ্রুত লোড হয়
❌ ডাইনামিক কনটেন্ট (যেমন – ইউজার অনুযায়ী আলাদা কনটেন্ট) দেখানো যায় না।
উদাহরণ: Portfolio ওয়েবসাইট বা Resume ওয়েব।



২. Single page application(SPA)

এখানে পুরো ওয়েবসাইট একটাই HTML ফাইলে লোড হয়। এরপর JavaScript দিয়ে DOM আপডেট করে নতুন পেজ দেখানো হয়।

✅ স্মুথ ইউজার এক্সপেরিয়েন্স
❌ প্রথমবার লোড হতে সময় লাগে, SEO ভালো হয় না
উদাহরণ: Gmail, Facebook



৩. Server Side Rendering (SSR)

প্রতিবার ইউজার কোনো পেজ রিকোয়েস্ট করলে সার্ভার তখনই সেই পেজ বানিয়ে পাঠায়।
✅ SEO ভালো হয়, ডাইনামিক কনটেন্ট সম্ভব
❌ প্রতিবার পেজ রেন্ডারিংয়ে সার্ভারের চাপ বাড়ে
উদাহরণ: Next.js এর SSR মোড



৪. Static site generation (SSG)

SSG হলো সব পেজ আগেই বানিয়ে রাখা। তবে এটি স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের চেয়ে স্মার্ট, কারণ ডেটা সোর্স বা API ব্যবহার করে পেজ তৈরি করে।
✅ দ্রুত লোড হয়
❌ কনটেন্ট আপডেট করতে রি-বিল্ড করতে হয়
উদাহরণ: ব্লগ, ডকুমেন্টেশন সাইট



৫. Incremental static regeneration (ISR)

এটি SSG আর SSR-এর মাঝামাঝি। প্রাথমিকভাবে পেজ বানিয়ে রাখে, পরে যখন দরকার হবে তখন নতুন কনটেন্ট দিয়ে পেজ আপডেট করে।
✅ SEO + আপডেটযোগ্য কনটেন্ট
❌ কিছুটা কনফিগারেশনের জটিলতা থাকতে পারে
উদাহরণ: Next.js এর ISR ফিচার



৬. Hydration

SSG বা SSR এ যখন HTML পেজ ইউজারের ব্রাউজারে আসে, তখন সেটা শুধু স্ট্যাটিক। ইন্টারঅ্যাকটিভ করতে JavaScript রান করিয়ে “জীবন্ত” করা হয় – এটাকেই হাইড্রেশন বলে।
✅ SPA র মত ইন্টারঅ্যাকটিভ
❌ JavaScript লোড না হওয়া পর্যন্ত ফ্রিজ লাগে



৭. Partial Hydration

পুরো পেজ না হাইড্রেট করে শুধুমাত্র যেসব জায়গায় ইন্টারঅ্যাকটিভিটি দরকার, সেগুলো হাইড্রেট করা হয়।
✅ দ্রুত লোড হয়
❌ ইমপ্লিমেন্টেশন কিছুটা কঠিন



৮. Islands architecture

পেজের কিছু কিছু অংশ (island) আলাদা করে রেন্ডার করা হয়। পুরো পেজ না বদলে শুধু বদলানো অংশ পরিবর্তন হয়।
✅ স্মার্ট রেন্ডারিং, পারফর্ম্যান্স ভালো
❌ কিছুটা জটিল আর্কিটেকচার
উদাহরণ: Astro framework



৯. Streaming SSR

পুরো HTML একবারে না পাঠিয়ে, কিছু কিছু অংশ আগে পাঠিয়ে দেওয়া হয় যাতে ইউজার আগেই কিছু দেখতে পায়।
✅ perceived performance ভালো হয়
❌ সার্ভার সাপোর্ট থাকতে হয়
উদাহরণ: React + Next.js 13 (app directory)



১০. Resumability

Qwik ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে চালু হওয়া এক নতুন ধারণা। এখানে হাইড্রেশন লাগে না। সব কিছু HTML এর মধ্যেই serialize করে রাখা হয় এবং ইউজারের প্রয়োজনে JavaScript lazy-load হয়।
✅ খুব দ্রুত লোড হয়, জাভাস্ক্রিপ্ট কম লাগে
❌ নতুন ধারণা, তাই এখনো পরীক্ষামূলক



১১. Client Side Rendering (CSR)

এই প্যাটার্নে সার্ভার থেকে শুধুমাত্র একটা HTML শেল পাঠানো হয়, বাকি সব কনটেন্ট JavaScript দিয়ে ব্রাউজারেই বানানো হয়।
✅ ইন্টারঅ্যাকটিভ ও SPA অনুভব
❌ প্রথমবার লোড হতে অনেক সময় লাগে, SEO খারাপ
উদাহরণ: React বা Vue অ্যাপ যেগুলো শুধু CSR করে



১২. Progressive Rendering

এই কৌশলে পেজ ধাপে ধাপে ইউজারকে দেখানো হয়। শুরুতে জরুরি অংশ, পরে অন্যান্য কনটেন্ট লোড হয়।
✅ দ্রুত perceived performance
❌ রেন্ডারিং কন্ট্রোল জটিল হতে পারে
উদাহরণ: ই-কমার্স সাইটে product details আগে, রিভিউ পরে



১৩. Route-level Rendering

প্রতিটি রুট বা পেজ আলাদাভাবে রেন্ডার হয় এবং প্রতিটির জন্য আলাদা রেন্ডারিং কৌশল নির্বাচন করা যায়।
✅ ফ্লেক্সিবল রেন্ডারিং
❌ ব্যবস্থাপনা কঠিন হতে পারে বড় অ্যাপে
উদাহরণ: Next.js App Router – কিছু রুট SSR, কিছু ISR



১৪. Edge Rendering

এই প্যাটার্নে পেজ রেন্ডার হয় CDN-এর কাছে থাকা edge সার্ভারে, যাতে ইউজারের কাছাকাছি থেকেই পেজ লোড হয়।
✅ গ্লোবালি ফাস্ট পারফর্ম্যান্স
❌ কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে (low compute power)
উদাহরণ: Vercel Edge Functions, Cloudflare Workers



১৫. Selective Hydration / Lazy Hydration

এই প্যাটার্নে শুধু যখন ইউজার কোনো উপাদানের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করে, তখনই সেটিতে হাইড্রেশন করা হয়।
✅ JavaScript usage অনেক কম
❌ কন্ট্রোল করা কঠিন হতে পারে
উদাহরণ: React Server Components-এর lazy hydrate approach

উপসংহার:
ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের পারফর্ম্যান্স, ইউজার এক্সপেরিয়েন্স আর SEO কেমন হবে তা অনেকটাই নির্ভর করে রেন্ডারিং প্যাটার্নের উপর। তাই প্রকল্পের ধরন বুঝে উপযুক্ত প্যাটার্ন নির্বাচন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো ডেভেলপার হতে চাইলে এগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখা দরকার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *